সন্দ্বীপ ডেস্ক: স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুয়েলারকে বরখাস্ত করাটাই কি তাহলে একমাত্র বিকল্প? শুক্রবার (১৬ মার্চ) এফবিআই’র উপ পরিচালক পদ থেকে এন্ড্রু ম্যাকাবেকে সরিয়ে নিজের পায়ে কুড়াল মেরেছেন ট্রাম্প। এই ম্যাকাবেই এখন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিচারকাজে বাধার দেয়ার অভিযোগ আনতে পারার রসদ জোগানো দ্বিতীয় ব্যক্তি হলেন, যিনি কিনা প্রেসিডেন্টের সাথে আলোচনার নোট নিয়েছিলেন বলে বলে দাবি করছেন। এখন সে অভিযোগ গঠনের প্রক্রিয়া বন্ধ করতে মুয়েলারকে সরিয়ে দেয়া একমাত্র বিকল্প। এর আগে, এফবিআই’র পরিচালক পদ থেকে বরখাস্ত হওয়া জেমস কমেই সাক্ষ দিয়ে বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে তার তদন্তকাজে হস্তক্ষেপ করেছেন।
মুয়েলার নাছোড়বান্দা। তাকে নানাভাবে অনুরোধ করা হয়েছে, প্রেসিডেন্টকে তদন্ত প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখার জন্য। বাধ্য হয়ে সবশেষ গত শনিবার ট্রাম্পের আইনজীবীদের একজন মুয়েলারের তদন্তকাজ বন্ধ করতে আহবান জানান বিচার বিভাগকে। এফবিআই বিচার বিভাগের অধীন সংস্থা। এ আহবানের পর ধরেই নেয়া হচ্ছে, যে কোন সময় মুয়েলারের ঘাড়ে হাত রাখতে পারেন প্রেসিডেন্ট।
রিপাবলিকান আইন প্রণেতারা এ নিয়ে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগে। প্রেসিডেন্টকে থামাতে সবচেয়ে বেশি দৌঁড়ঝাঁপে আছেন তাদের অনেকে। রাজনীতিকে সঙ্কট তৈরির হুশিয়ারি দিয়েছেন কেউ কেউ। কারো মত, এতে সাংবিধানিক সঙ্কট বাড়বে।
ট্রাম্পের কড়া সমালোচক, রিপাবলিকান সিনেটর জেফ ফ্লেইক মঙ্গলবার টুইট করে যা বুঝিয়েছেন একেবারেই সোজাসাপ্টা, প্রেসিডেন্ট মুয়েলারকে বরখাস্ত করলে এর পরিণতি হবে ইম্পিচমেন্ট। সেটিই মোকাবেলা করতে হবে তাকে। জেফ একাজ না করার জন্য প্রেসিডেন্টের প্রতি অনুরোধ জানান।